School/ College/ Madrasa Closed: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ স্কুল-কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান! কোটা আন্দোলনের জেরে নিদের্শ

Published By: Munna Hossain | Published On:

School/ College/ Madrasa Closed News: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংঘর্ষের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের অধীনস্থ সকল উচ্চবিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা(ইসলামিক সেমিনারি) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এমনটাই জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র।এই বন্ধের নির্দেশ বাংলাদেশের (Bangladesh) জেলায় জেলায় জারি রয়েছে

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now

প্রসঙ্গত বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন (Quota Movement) ছাত্র সমাজের মধ্যে চলছে। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুরে ও বিভিন্ন জায়গায় মঙ্গলবার সংঘর্ষ বেধেছে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীরা এবং পুলিশের মধ্যে। সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে এই সংঘর্ষে 6 জন নিহত হয়েছে এবং একাধিক আহত। ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার কারনে এই অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে।

কোটা আন্দোলনের(Quota Movement)সূত্রপাত:

2018 সালে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। একাধিক জায়গায় এর প্রভাব পড়েছিল। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে 56 শতাংশ সংরক্ষিত(Quota Reservation) এবং 44 শতাংশ সাধারণের জন্য নির্ধারিত। এই 56 শতাংশ সংরক্ষণের মধ্যে 30 শতাংশ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজনদের জন্য নির্ধারিত ছিল, বিভিন্ন জেলার জন্য 10 শতাংশ, নারীদের জন্য 10 শতাংশ ও জনজাতিদের জন্য 5 শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী বা শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য 1 শতাংশ সংরক্ষিত পদ ছিল। তবে এই সংরক্ষণের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। একাধিক মহলে এই বিষয়ে চর্চা হচ্ছিল নির্দিষ্ট কোন এক শ্রেণীর মানুষ বেশি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছিল এই ধরনের কথা উঠে আসছিল। ধীরে ধীরে এই চর্চা, ক্ষোভ বহিঃপ্রকাশ পেতে থাকে ফলস্বরূপ 2018 সালে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় কোটাবিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এই আন্দোলনকে ঠেকাতে তৎক্ষণাৎ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজনের 30 শতাংশ সংরক্ষণ ও জেলার 10 শতাংশ সংরক্ষণ এবং মহিলাদের 10 শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল করে দেয়। জারি রাখা হয়েছিল জনজাতিদের 5 শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের 1 শতাংশ। তখনকার মতে এই সিদ্ধান্তে ছাত্ররা ইতি টানে আন্দোলনের।

কিন্তু 7 জন মুক্তিযোদ্ধার স্বজন 2018 সালের সংরক্ষণ বাতিলের নির্দেশনামার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে 2021 সালে হাইকোর্টে যান। গত 5 জুন হাইকোর্ট রায় দেয় 6 বছর আগের হাসিনা সরকারের এই নির্দেশ অবৈধ। নির্দেশনামা বাতিলের অর্থ ফের আগের মত দেশে সংরক্ষণ ফিরে আসা। তার প্রতিবাদে ফের আন্দোলনে নামেন ছাত্ররা তাঁরা দাবি করেন, স্থায়ীভাবে সরকারি নিয়োগে সব ধরনের কোটা ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে হাসিনা সরকার আপিল বিভাগে আবেদন করেছে। এক মাস স্থগিত থাকার পর 7 আগস্ট পরবর্তী শুনানি এবং সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ আদালত।

About Author
Munna Hossain

বিগত ৬ বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে পরিচিত। প্রতিনিয়ত সাম্প্রতিক ঘটনা থেকে শুরু করে খেলাধুলার খবর নিজের আয়ত্তে রাখতে অভ্যস্ত। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারের সমস্ত রকম আপডেট (চাকরি/স্কলারশিপ/প্রকল্প ইত্যাদি) সর্বদাই রাখার চেষ্টায় অব্যাহত।