বড়ো সুখবর ঘোষণা রাজ্যের: প্রতিমাসে 1000 টাকা পেতে নতুন করে নাম তোলা শুরু! জানুন বিস্তারিত

Published By: Mamun Rasid Hoque | Published On:

রাজ্য সরকারের বড়সড়ো উদ্যোগ বিধবা, বয়স্ক এবং বিশেষভাবে সক্ষম ভাতা নিয়ে। উল্লেখ্য বয়স্ক মানুষদের পেনশন দিতে 2010 সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ বিভাগ দ্বারা বৃদ্ধ বয়স পেনশন (Old age pension) প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বার্ধক্য পেনশন: জাতীয় বৃদ্ধ পেনশন প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বৃদ্ধ বয়স্ক পেনশন স্কিম হিসাবে রাখা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে 19 ই নভেম্বর 2007 সালে চালু করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত বিগত বছর গুলিতে রাজ্য সরকারের চালু করা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বয়স্ক ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা প্রকল্পগুলিতে‌ লক্ষ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল এবং সেই জমা পড়া লক্ষ লক্ষ আবেদনের নিষ্পত্তিও করা হয়েছে দ্রুততার সঙ্গে। আর এই বয়স্ক ভাতা  ভাতা দেওয়ার জন্য নতুন করে সুখবর ঘোষণা দিল রাজ্য সরকারের তরফে কি সেই ঘোষণা, জানবো আজকে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Channel Join Now

জয় জোহর (বৃদ্ধ পেনশন) স্কিম- 1লা এপ্রিল 2020-এ চালু করা হয়েছে, জয় জোহর হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের একটি সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প। তবে সব সম্প্রদায়ের জন্য বৃদ্ধ ভাতা চালু রয়েছে। এই ভাতাতে আবেদন করতে গেলে উপভোক্তাকে যে বছর আবেদন করবে সেই বছরে প্রথম তারিখ অনুযায়ী অর্থাৎ 1লা জানুয়ারি হিসেবে 60 বছর বয়স বা তার অধিক হতে হবে। তাছাড়াও রাজ্যের বিধবা মহিলাদের জন্য বিধবা ভাতা (Widow pension) চালু রয়েছে। দুয়ারের সরকার ক্যাম্পে বা বিডিও অফিস কিংবা এসডিও অফিসে ফর্ম পূরণ করতে হয় এই ভাতার জন্য। এই বিধবা ভাতাতে আবেদন করতে গেলে মহিলাদের ন্যূনতম 18 বছর বয়স হতে হবে। তাছাড়াও রাজ্যের শারীরিকভাবে অক্ষম পুরুষ ও মহিলাদের জন্য মানবিক ভাতা (Disability pension) চালু রয়েছে। এখানে আবেদন করতে গেলে উপভোক্তাকে 40% বা তার উপরে শারীরিক অক্ষমতার শংসাপত্র দিতে হবে। এই ভাতাতেও আবেদন করতে গেলেও বিডিও অফিস বা এসডিও অফিসে কিংবা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যোগাযোগ করতে হবে। তিনটি ভাতা থেকেই প্রতি মাসে উপভোক্তাদের 1000 টাকা করে দেওয়া হয়।

তিনটি ভাতা নিয়ে কি সুখবর ঘোষণা করল রাজ্য দেখুন 

নতুন করে রাজ্য সরকার আরও দেড় লক্ষ মানুষকে বিধবাভাতা, বার্ধক্যভাতা এবং বিশেষভাবে সক্ষম ভাতার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অনলাইনে বৈঠক করে দ্রুত ওয়েটিং লিস্টে থাকা নাম থেকে যোগ্য উপভোক্তাদের বাছাই করতে বলেছে। তাদের নাম সরকারি পোর্টালে তোলার কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে প্রায় সাড়ে 9.5 লক্ষ মানুষ বিধবাভাতা পাচ্ছেন।বর্তমানে বার্ধক্যভাতা পাচ্ছেন 5 লক্ষ চার 4 হাজারেও বেশি মানুষ। বিশেষভাবে সক্ষম ভাতার উপভোক্তার সংখ্যা 40 হাজার 685। অনেক সময় দেখা যায় আবেদন করার পরও লিস্টে নাম ওঠেনি, তারা বিডিও অফিস অথবা এসডিও অফিস চত্বরে বারংবার যোগাযোগ করে। সেই বিষয়টি নজরে আশায় রাজ্য সরকার তড়িঘড়ি আরো প্রায় দেড় লক্ষ নতুন উপভোক্তাকে এই প্রকল্পের আয়তায় আনতে উদ্যোগী হয়েছেন। আর এই প্রকল্পগুলিতে রাজ্য সরকারের তরফে উপভোক্তাদের প্রতি মাসে 1000 টাকা করে প্রদান করা হয়। কাজেই আপনি যদি এখনো পর্যন্ত এই প্রকল্প গুলিতে নাম তুলতে না থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবর্ণ সুযোগ অবশ্যই আপনার নাম নথিভুক্ত করাবেন এবার।

 

About Author
Mamun Rasid Hoque

বিগত ৩ বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কাজের সাথে কর্মরত। সাম্প্রতিক খবর ও বিভিন্ন তথ্য হাতের মুঠোয় রাখতে অভ্যস্ত। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারের সমস্ত রকম আপডেট (চাকরি/স্কলারশিপ/প্রকল্প ইত্যাদি) নখদর্পনে রাখার চেষ্টায় অব্যাহত।