লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের নতুন নিয়ম শুরু হলো, যা না মানলে আপনিও টাকা পাবেন না, পুরো বিষয়টি জানতে হলে এই খবরটি মনোযোগ সহকারে দেখুন। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প (lakshmir bhandar prokalpa) হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের(Government of West)একটি প্রকল্প যার উদ্দেশ্য সমাজ এর অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মহিলাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া এবং তাদের ক্ষমতায়ন করা। পশ্চিমবঙ্গে(West Bengal) তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamul Congress) 2021 সালে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) এই প্রকল্পটি চালু করেন।
এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ পরিবারের মহিলাদের আগে প্রতি মাসে 500 টাকা ও আদিবাসী – উপজাতি পরিবারের মহিলাদের প্রতি মাসে 1000 টাকা দেওয়া হতো। এই টাকা সরাসরি সুভিদাভোগীদের ব্যাংক একাউন্টে জমা করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে 25 থেকে 59 বছর বয়সী মহিলাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। যদিও পরবর্তীতে 1 লা এপ্রিল 2024, এই দিন থেকেই এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী তপশিলি ও আদিবাসী মহিলারাদের 1000 থেকে 1200 টাকা বাড়ানো হয় এবং 1000 টাকা জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলাদের 500 টাকা বাড়িয়ে করা হয়। এই প্রকল্পটি শুরু হওয়ার পর এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে এতে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনের (Punjab bidhan sabha election) সময় ঘোষণা করেছিলেন যদি তার দল আম আদমি পার্টি ক্ষমতায় আসে তাহলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত পিছিয়ে পড়া মহিলাদের 1000 টাকা করে প্রতি মাসে দেওয়া হবে। এরকম ভাবে পরবর্তীতে হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানার মহিলারাও কংগ্রেস সরকারের অধীনে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পেয়ে থাকেন।
পশ্চিমবঙ্গবাসী মহিলাদের এই প্রকল্পের সুবিধার জন্য প্রথমে মহিলাদের একটি নির্দিষ্ট ফর্ম ফিলাপ করতে হবে । তবে যে সকল পরিবারে সরকারী চাকরিজীবী কেউ নেই সেই সকল পরিবারের মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। আর এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য দুয়ারে সরকার (Duyare sarkar) কর্মসূচির মাধ্যমেই ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে।নির্বাচনের পূর্বে গত বছর এই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয় স্বাস্থসাথী কার্ডের(Swasthya sathi)উপর আর যার প্রভাব দেখা গিয়েছিল বাংলার নির্বাচনী ভোটবাক্সে। আর এবার এই কর্মসূচির প্রধান বিষয় হলো ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প’।
আরো পড়ুন:- লক্ষীর ভান্ডারে দূর্গা পুজোর বোনাস ব্যাঙ্ক একাউন্টে ২৪০০ টাকা এবং ২০০০ মিলতে পারে👈👈👈
লক্ষীর ভান্ডারে কি কি নিয়ম দেখবেন?
- ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাবেননা।
- ব্যাংক একাউন্টের সাথে আধার লিংক কেটে গেলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষীর ভান্ডার।
- 60 বছর বয়স পেরিয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে।
- নির্দিষ্ট কিছু বছর পর ব্যাংক একাউন্টের KYC করতে হয়, তা না থাকলে লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ হবে কারণ ব্যাংকে টাকা ঢুকবে না।
- ইতিমধ্যে কিছু ব্যাংক বন্ধ হয়েছে অথবা অন্য ব্যাংকের সাথে সংযুক্ত হয়েছে সেই সব ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট যদি থাকে সেক্ষেত্রে ও লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হতে পারে।যদি নতুন ব্যাংকে KYC আপডেট না থাকে।
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প’ এবারের ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে বেশ জনপ্রিয় হতে যাচ্ছে। আগের মত সমস্ত প্রকল্প থাকলেও এবারে প্রাধান্য দেওয়া হবে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পকে। এই প্রকল্প আওতাভুক্ত হওয়ার জন্য মহিলাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড এবং অন্যান্য জাতিভুক্ত হলে সেই জাতির শংসাপত্র পত্র থাকতে হবে। তবে কোন মহিলার যদি কোন নথি না থাকে, তাহলে তাকে অতিদ্রুত তৈরি করে দিতে হবে। খুব শীগ্রই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসতে পারে।
Lakshmi bhandar status check:- Click