রাজ্যের সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্প মূলত মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা ও পিছিয়ে পড়া মহিলাদের মাসে ১২০০ টাকা করে দেওয়া হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পটি চালু করেছিলেন ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য সেই সময় বড় সাফল্য পেয়েছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
লক্ষীর ভান্ডার বৃদ্ধি হতে পারে এই বাজেটেই কি জানালো বিশেষজ্ঞরা?
বর্তমানে রাজ্যের মহিলারা ১ হাজার টাকা এবং ১২০০ টাকা মাসিক ভাতা পেয়ে থাকেন। গত বাজেটেই লক্ষীর ভান্ডারের টাকা ৫০০-র বদলে ১০০০ এবং ১ হাজার টাকার ১২০০ টাকা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবারও এই টাকা বাড়াতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। অনেক বড় বড় সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, এই টাকা বৃদ্ধি হয়ে ১৫০০ কিংবা ২০০০ টাকা করা হতে পারে। আবার অনেকে মনে করছে বর্তমানের থেকে দ্বিগুণ হতে পারে এই টাকার পরিমাণ।
সম্প্রতি একটি প্রশাসনিক অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন লক্ষীর ভাণ্ডার কোনদিনও বন্ধ হবে না। যতদিন বাঁচবেন ততদিন এই লক্ষীর ভান্ডার পাবেন। এক কথায় আজীবন পাবেন এই লক্ষীর ভান্ডার। মমতার বিবৃতিতে শোনা যায়, লক্ষীর ভান্ডার ২৫ বছর থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত মিলে, তারপর যখনই ৬০ বছর উর্ধ্বে হয়ে যাবেন বার্ধক্য ভাতার টাকা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই পাবেন।
সুতরাং এই লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ হচ্ছে না। সাথে তিনি বলেন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার বাড়বে। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। অনেকেই বলছে এই টাকা দ্বিগুণ হবে অনেকেই মনে করছে কিছুটা বাড়াতে পারে কেননা সামনেই রয়েছে বিধানসভা ভোট। এবং বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের এই বাজেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবার যদি টাকার অংক বৃদ্ধি করতে না পারে তাহলে আর বৃদ্ধি করতে পারবে না। কারণ ভোটের মুহূর্তে কোন প্রকল্পের সূচনা বা বৃদ্ধি করার নিয়ম নেই।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বাজেট প্রকাশিত হয়েছে, আর আগামী ১২-ই ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট পেশ করবেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। দেখার বিষয় নতুন কি কি প্রকল্প আনেন এবং কোন কোন প্রকল্পের টাকা বৃদ্ধি করা হয়।
লক্ষীর ভান্ডারের ফেব্রুয়ারি মাসের টাকা কবে ঢুকবে? Lakshmir bhandar scheme
ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। স্ট্যাটাসের ও পরিবর্তন আসছে “payment under process” এই প্রক্রিয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ব্যাংক একাউন্টে মহিলারা তাদের লক্ষীর ভান্ডারের টাকা পেয়ে যান। তবে মনে করা হচ্ছে এই টাকা বাজেট পেশ এর আগেই পেয়ে যাবেন।
ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখ থেকে উপভোক্তাদের ব্যাংকের একাউন্টে টাকা আসা শুরু করবে এবং ৯ তারিখের মধ্যেই সকলেই টাকা পেয়ে যাবে।
লক্ষীর ভান্ডারের কিভাবে স্ট্যাটাস চেক করবেন? Laxmi Bhandar Status Check
- প্রথমে এখানে হাত দিন
এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাবেন। (https://socialsecurity.wb.gov.in/login)
- এরপর track applicant status একটি অপশন পাবেন সেখানে ক্লিক করবেন।
- এরপর searching using অপশনে ক্লিক করবেন, এখানে মোট চারটি অপশন পাবেন অ্যাপ্লিকেশন আইডি/মোবাইল নম্বর/আধার কার্ড নম্বর অথবা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নম্বর যেকোনো একটি সিলেক্ট করবেন।
- এরপর সেই আইডি নম্বরটি ও ক্যাপচার কোড বসিয়ে সার্চে ক্লিক করবেন।
- আবেদনকারীর সম্পূর্ণ ডিটেলস পেয়ে যাবেন, কত তারিখ আবেদন অ্যাপ্রুভ করা হয়েছে তাছাড়াও পেমেন্ট স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন।
নতুন আবেদনকারী মহিলাদের টাকা কবে দেওয়া হবে?
New Lakshmir bhandar scheme 2025
এ বছরে প্রথম দুয়ারে সরকার শুরু হয়েছিল ২৪ জানুয়ারি যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ১লা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দেখা গেছে এবারেও রেকর্ড জমা পড়েছে লক্ষীর ভান্ডারের আবেদনপত্রের। আপাতত জানা যাচ্ছে মোট ৩ লক্ষ নতুন আবেদন জমা পড়েছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী যে সমস্ত আবেদন পত্র দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে জমা পড়বে। সেই সমস্ত নথি যাচাই করে ২৮- ই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই প্রসেসিং করা হবে। এর থেকে অনুমান করা হচ্ছে নতুন আবেদনকারীদের এবারে অর্থাৎ এই মাসে টাকা ঢুকবে না। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী অর্থবর্ষ থেকে এই টাকা পাবে নতুন আবেদনকারীরা। অর্থাৎ ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলতি অর্থবর্ষ এরপর এপ্রিল মাস থেকেই নতুন অর্থবছর শুরু হবে। নতুন আবেদনকারীদের এপ্রিল মাস থেকেই টাকা ছাড়া হতে পারে।
লক্ষীর ভান্ডারে বেশি টাকা কারা পাবেন? Laxmi Bhandar Status Check Online 2025
লক্ষীর ভান্ডারে নতুন নিয়ম অনুযায়ী অনেক সমস্যা হয়েছে মহিলাদের অনেকেরই ব্যাংক একাউন্টের সমস্যা আবার অনেকেরই বিভিন্ন সমস্যার কারণে, দু-তিন মাসের পেমেন্ট আটকে গিয়ে থাকতে পারে। সেই সমস্ত মহিলাদের পুরনো কিস্তি গুলো একসঙ্গে দেয়৷ হতে পারে।
যদি দেয় তাহলে যারা ১ হাজার টাকা পান তারা দুটি কিস্তির টাকা ২ হাজার অথবা তিন মাসের ৩ হাজার টাকা পাবেন। এছাড়াও যারা ১২০০ টাকা পান তাদের দুই কিস্তির পরিমাণ হিসেবে ২৪০০ টাকাও পেতে পারেন।