বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় দানা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক বিপদ। এটি সমুদ্রের উপর দিয়ে স্থলভাগের দিকে ক্রমে এগিয়ে আসছে যার ফলে জোরদার বাতাস বইতে পারে। ঘূর্ণিঝড় দানার ফলে উত্তরবঙ্গ সহ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার চেহারা কোন জেলায় কিরকম থাকছে? এ নিয়ে হাওয়া অফিস কি জানিয়েছে জানুন আজকে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
জানা যাচ্ছে কলকাতা সহ তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে কোথাও দমকা হওয়া আবার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হচ্ছে যার ফলে ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় লাল সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন আজ রাতেই ঘূর্ণিঝড় দানা উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পুরী তাছাড়াও সাগরদ্বীপের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।
আজ দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া কেমন?
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর আজ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু জেলাতে রেড অ্যালার্ট দেওয়া হয়েছে জানা যাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া বীরভূম ,মুর্শিদাবাদ ,নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান এই কয়েকটি জেলায় আপাতত হলুদ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে যেখানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের 4 জেলায় আপাতত লাল সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে যেখানে ভয়ংকর বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝোড়ো হওয়া এবং ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়া সম্ভবনা রয়েছে এই জেলা গুলি হল কলকাতা, দক্ষিণ 24 পরগনা ,পূর্ব মেদিনীপুর ,পশ্চিম মেদিনীপুর। ইতিমধ্যে এইসব জেলাতে প্রচন্ড ঝড় ও ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে যা জারি থাকবে আগামীকাল পর্যন্ত। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা তাছাড়াও কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা উঠে আসছে।
আজ উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া কেমন?
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্র অনুযায়ী আপাতত উত্তরবঙ্গের কোন জেলাতে তেমন কোনো সতর্কবার্তা জারি করা হয়নি তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বাতাসের বেগ তুলনামূলক বেশি থাকবে তাছাড়া কয়েকটি জেলাতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
আরও প্রুনঃ-বাংলা আবাস যোজনা সার্ভের শুরুতেই ৪০ হাজার নাম বাদ, আপানার নাম বাদ গেলো কিনা দেখুন!
আবহাওয়া দপ্তর থেকে সতর্কবার্তা
ঘূর্ণিঝড় একটি প্রাকৃতিক বিপদ যার ফলে পশু-পাখি থেকে শুরু করে মানব জীবনের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় তা এখন রক্ষা করা অনেকটাই সুবিধের হয়েছে, ইতিমধ্যে আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রকারের নির্দেশ দিয়েছে। যদি মাঠে পাকা ফসল থাকে সেক্ষেত্রে উঠিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তাছাড়াও নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হতে পারে অতি বৃষ্টির কারণে। ঝড়ের সময় বাড়ির বাইরে না বেরোনোর নির্দেশ রয়েছে। তাছাড়াও ইলেকট্রিক পোল বা তার ছিড়ে গেলে তৎক্ষণাৎ ইলেকট্রিক অফিসে জানিয়ে দেওয়া। যদি কোন ধরনের বিপদের সম্মুখীন হয়ে থাকেন তৎক্ষণাৎ রাজ্যের হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে যোগাযোগ করবেন।