পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ভোট প্রচারে প্রতিশ্রুতি হিসেবে বলেছিল লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করবে সে মতো সে প্রকল্প চালু হয়েছে ২০২১ সালেই, পরবর্তীতে লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা বাড়ানো হয়েছে। এবারের ভোট প্রচারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জোর দাবি তুলেছিলেন যদি কেন্দ্র সরকার আবাস যোজনার টাকা না দেয় সেক্ষেত্রে “বাংলার বাড়ি” নামে রাজ্য সরকার নিজের তহবিল থেকে বাড়ি বানিয়ে দেবে উপভোক্তাদের সেই প্রতিশ্রুতি রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, ইতিমধ্যে একাউন্টে বাড়ি বানানোর প্রথম কিস্তি ৬০ হাজার টাকা পাচ্ছে উপভোক্তারা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আবাস নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে উপভোক্তাদের জন্য অর্থ সহায়তা প্রদান করছে। মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে ৪২ জন উপভোক্তার হাতে আবাস তৈরির প্রথম কিস্তির অর্থ তুলে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরও ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে আবাসের অর্থ দেওয়া হবে, যা দুই ধাপে বিতরণ করা হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ মূলত রাজ্যের উন্নয়ন এবং নির্বাচনী রাজনীতির সাথে সম্পর্কিত। তিনি উল্লেখ করেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের নরেন্দ্র মোদী প্রশাসন রাজ্যকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে অর্থ প্রদান না করায়, রাজ্য সরকার নিজ উদ্যোগে এই অর্থ বিতরণ করছে। এটি পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরতে তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০২৬ সালের মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, এবং এই সময়ে আবাস রাজনীতি মমতার জন্য একটি বড় অস্ত্র হতে পারে।
প্রথম পর্যায়ে ১২ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানো হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে আনুষ্ঠানিকভাবে মঙ্গলবার ১৭ই ডিসেম্বর টাকা পাঠানো হয়েছে প্রায় ৮ লক্ষ উপভোক্তার একাউন্টে, এরপর ধাপে ধাপে বাকি উপভোক্তাদের টাকা একাউন্টে আসছে। তবে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানোর ক্ষেত্রে কড়া নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার, একাউন্টের সাথে আধার লিঙ্ক না থাকলে টাকা একাউন্টে আসবে না বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। এর জন্য উপভোক্তাদের কি করতে হবে সে বিষয়ক কড়া নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ব্যাংক একাউন্টের সাথে আধার লিঙ্ক করার জন্য অতি শীঘ্রই ব্যাংকে যোগাযোগ করুন অথবা সে বিষয়ে সাহায্যের জন্য ব্লক অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
কাদের বাড়ি বানানোর প্রথম কিস্তির ৬০০০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে? Awas Yojana Payment Received
রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন প্রত্যেক যোগ্য উপভোক্তা বাড়ি বানানোর ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাবে এবং এর জন্য সার্ভের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে জেলায় জেলায়। প্রত্যেক জেলার ব্লক অনুযায়ী খসড়া লিস্ট পরবর্তীতে প্রকাশিত হয়েছিল, সেই লিস্টের যোগ্য উপভোক্তা হিসেবে যেসব নাম জেলা পর্যায়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল তাদেরকেই বাড়ি বানানোর প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন যারা বাড়ি বানানোর টাকা বর্তমানে পাচ্ছেনা তাদেরকে পরের ধাপে টাকা পাঠানো হবে। মোট ৩৩ লক্ষ উপভোক্তা যাচাইয়ের আওতায় এসেছিল পরবর্তীতে ২৮ লক্ষ যোগ্য উপভোক্তা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে কিন্তু এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে টাকা দেওয়া হচ্ছে এবং পরবর্তী ধাপে ১৬ লক্ষ উপভোক্তার একাউন্টে টাকা দেওয়া হবে।
দ্বিতীয় ধাপের টাকা অথবা ১৬ লক্ষ উপভোক্তা কবে টাকা পাবে? Bangla Awas Yojana Payment Not Received
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৭ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলার বাড়ি বা বাংলা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তি ৬০ হাজার টাকা যোগ্য উপভোক্তাদের একাউন্টে পাঠিয়ে দেন। সেইদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড়ো ঘোষণা দিয়েছেন “১২ লক্ষ উপভোক্তা আজকে থেকে টাকা পাবে বাকি আরো ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে পরের ধাপে টাকা দেওয়া হবে”। মুখ্যমন্ত্রীর কথামত বাকি ১৬ লক্ষের মধ্যে ৮ লক্ষ উপভোক্তার একাউন্টে 2025 সালের মে-জুন মাসে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পাঠানো হবে এবং বাকি ৮ লক্ষ ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস নাগাদ প্রথম কিস্তির টাকা পাবে। এভাবেই ধাপে ধাপে মোট ২৮ লক্ষ উপভোক্তার একাউন্টে টাকা আসবে।
কত তারিখ পর্যন্ত টাকা পাঠানোর কাজ জারি থাকবে? Bangla Awas Yojana New Update
১২ লক্ষ উপভোক্তার প্রথম ধাপের টাকা ১৭ই ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী ছেড়েছেন। ১৭ তারিখ থেকে আজকের দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই উপভোক্তাদের একাউন্টে টাকা ঢুকছে ১৭,১৮,১৯,২০,২১ তারিখেও টাকা পাঠানো হবে আবাস যোজনার তবে ২২তারিখ রবিবার ছুটির দিন থাকায় টাকা একাউন্টে নাও ঢুকতে পারে তবে সেক্ষেত্রে প্রশাসনিক আধিকারিকরা আশ্বাস দিয়েছেন তারপরের দিন ২৩ তারিখ থেকে ফের টাকা পাঠানোর কাজ জারি থাকবে এবং ৩১ই ডিসেম্বরের মধ্যে যোগ্য উপভোক্তাদের একাউন্টে টাকা আসবে। যদি ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা যোগ্য উপভোক্তাদের একাউন্টে না আসে সেক্ষেত্রে সেই উপভোক্তা নিজস্ব বিডিও অফিসে যোগাযোগ করবে।
কোন কোন জেলাকে টাকা পাঠানো হচ্ছে? Bangla Awas Yojana
প্রত্যেক জেলার ট্রেজারিতে আগেই টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। জেলা ট্রেজারিগুলো থেকে সেই জেলার উপভোক্তাদের নিজস্ব ব্লকের ট্রেজারিতে সেই টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ব্লকের ট্রেজারি থেকেই উপভোক্তাদের একাউন্টে টাকা আসছে ১৭ই ডিসেম্বর থেকে। কোনো জেলাভিত্তিক টাকা দেওয়া হচ্ছে না প্রত্যেক জেলাই তাদের জেলার যোগ্য উপভোক্তাদের টাকা প্রতিদিন পাঠিয়ে দিচ্ছে। টাকা পাঠানোর আগে একটি এসএমএস পাঠানো হচ্ছে উপভোক্তাদের।
প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা একাউন্টে আসার পর বাকি কিস্তির টাকা কোন মাসে দেবে? Banglar Bari New Upadte
প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি বানানোর কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসনিক মহল। পরবর্তীতে তিন থেকে চার মাস পর অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিল মাসে পরের ধাপের ৬০ হাজার টাকা একাউন্টে আসবে উপভোক্তাদের।