Krishak bandhu online apply: কৃষক বন্ধু প্রকল্পে অনলাইন আবেদন শুরু এবং ২ লক্ষ টাকার সুবিধা দিচ্ছে দেখুন

Published By: Munna Hossain | Published On:

Krishak bandhu online apply: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government Of West Bengal) জনপ্রিয় প্রকল্প কৃষক বন্ধুতে অবশেষে অনলাইন আবেদন শুরু হলো (krishak bandhu online registration)। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মস্তিষ্কপ্রসূত কৃষকদের জন্য এই প্রকল্প যেখানে কৃষকেরা বছরে সর্বোচ্চ 10 হাজার টাকা সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে পেয়ে থাকে(Krishakbandhu Payment)। এতদিন থেকে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে(Krishakbandhu Prakalpa)আবেদনের জন্য কৃষি দপ্তর অফিস অথবা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে অফলাইন ফর্ম পূরণ করতে হতো। ইতিমধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে গেলো এখন আর কৃষি দপ্তর অফিস অথবা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হবেনা। বাড়িতে বসেই আপনার হাতে থাকা মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইন আবেদন করতে পারবেন। কিভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন স্টেপ বাই স্টেপ? কি কি ডকুমেন্ট লাগবে? কি কি শর্ত রাখা হয়েছে? কি কি সুবিধা পাবেন বিস্তারিত জেনে নিচ্ছি আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে।

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে অনলাইন আবেদনের সম্পূর্ণ পদ্ধতি (Krishak bandhu online apply) :-

  1. সর্বপ্রথম কোন ব্রাউজার খুলে গুগলে সার্চ করুন Krishak bandhu লিখে। প্রথমেই অফিশিয়াল ওয়েবসাইটটি দেখতে পারবেন এবং তার নিচে Registration form একটি অপশন পাবেন সেখানে ক্লিক করবেন। আপনাদের সুবিধার্থে আবেদন করার লিংকটি প্রতিবেদনের শেষে দেওয়া থাকবে সেখান থেকেও সরাসরি রেজিস্ট্রেশন পেজে যেতে পারবেন। Krishak bandhu online apply: কৃষক বন্ধু প্রকল্পে অনলাইন আবেদন শুরু এবং ২ লক্ষ টাকার সুবিধা দিচ্ছে দেখুন
  2. এরপর আবেদনকারী কৃষকের ভোটার কার্ড নম্বর নির্দিষ্ট ঘরে বসিয়ে Check Voter অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  3. তারপর আবেদনকারী কৃষকের মোবাইল নম্বর বসিয়ে Get OTP অপশনে ক্লিক করতে হবে, নিচে OTP বসানোর জায়গা থাকবে সেখানে মোবাইল নাম্বারে প্রাপ্ত ওটিপি বসিয়ে Confirm Otp উপর ক্লিক করবেন। যদি ওটিপি না আসে সেক্ষেত্রে রিসেন্ট ওটিপিতে ক্লিক করতে হবে।
  4. এরপর সম্পূর্ণ রেজিস্ট্রেশন ফর্মটি ওপেন হবে। প্রথমেই Farmer Details অপশন পাবেন তারপর Profile Details, Bank Details, Address Details, Cultivable Land Details পরপর এই অপশন গুলো পূরণ করতে হবে।
  5. প্রথমেই Farmer Details অপশনে ক্লিক করবেন, এখানে আবেদনকারীর পাসপোর্ট মাপের একটি ছবি আপলোড করতে হবে Image এর ঘরে। তারপর আবেদনকারীর আলাদা একটি মোবাইল নম্বর দিতে হবে Alternative Mobile No এর জায়গায়, ইমেল আইডি থাকলে দেবেন না দিলে কোন অসুবিধা নেই।
  6. আবেদনকারী কৃষকের প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে আবেদন করা থাকলে Yes অপশনে ক্লিক করবেন এবং কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার সেলফ ডিক্লারেশন ফর্মটি আপলোড করতে হবে। যদি পিএম কিষানে আবেদন করা না থাকে সেক্ষেত্রে No অপশনে ক্লিক করবেন। Self Declaration ফর্ম ডাউনলোড লিংক প্রতিবেদনের নিচে দেওয়া রয়েছে।
  7. তারপর দুয়ারে সরকার আইডির জায়গায় কোন কিছু বসাতে হবে না।
  8. এরপর পরবর্তী অপশন Profile Details এ ক্লিক করবেন এখানে প্রথমেই আবেদনকারীর আধার কার্ডের ছবি আপলোড করতে হবে এবং নির্দিষ্ট ঘরে আধার নম্বর বসাতে হবে। তারপর ভোটার কার্ডের ছবি আপলোড করতে হবে এবং নির্দিষ্ট ঘরে ভোটার কার্ড নম্বরটি দেখতে পারবেন।
  9. এরপর আবেদনকারী কৃষকের নাম বড় হাতের ইংরেজি লেটারে নির্দিষ্ট ঘরে লিখবেন।
  10. তারপর পর্চা বা খতিয়ানে আবেদনকারীর নাম বাংলাতে যেরকম করে রয়েছে সেইভাবে নির্দিষ্ট ঘরে লিখবেন।
  11. এরপর আবেদনকারীর বাবা অথবা স্বামীর নাম দিতে হবে।
  12. তারপর আবেদনকারীর জন্ম তারিখ, বয়স, লিঙ্গ, ক্যাটাগরি এগুলো নির্দিষ্ট ঘরে বসাতে হবে।
  13. এরপর টাইপ অফ ফার্মার ঘরে আবেদনকারীর নিজের নামে জমি থাকলে Owner অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে, যদি বর্গাদার হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে Bargadar অপশন সিলেক্ট করবে এবং পাট্টাদার হলে Pattadar অপশনে ক্লিক করবে।
  14. তারপর পরবর্তী অপশন Bank Details ঘরে ক্লিক করবেন এখানে প্রথমেই ব্যাংকের পাসবুকের প্রথম পাতার ছবি আপলোড করতে হবে নির্দিষ্ট ঘরে।
  15. এরপর নির্দিষ্ট ঘরে ব্যাংকের পাসবুকের নাম অনুযায়ী আবেদনকারীর নাম লিখতে হবে, অ্যাকাউন্ট নাম্বার, ব্যাংকের আইএফসি কোড, ব্যাংকের নাম, ব্রাঞ্চের নাম ও অ্যাকাউন্ট টাইপ সিলেক্ট করতে হবে।
  16. তারপর পরবর্তী অপশন Address Details এর ঘরে ক্লিক করবেন সেখানে আবেদনকারীর বসবাসের সম্পূর্ণ ঠিকানা দিতে হবে। জেলার নাম, ব্লকের নাম, গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম, গ্রামের নাম, পোস্ট অফিসের নাম, থানার নাম ও পিন কোড নির্দিষ্ট ঘরে লিখতে হবে।
  17. এরপর পরবর্তী অপশন Cultivable Land Details ঘরে ক্লিক করবেন প্রথমেই অ্যাড ল্যান্ড ডিটেল একটি অপশন থাকবে সেখানে ক্লিক করবেন। এখানে জমির তথ্য দিতে হবে জমিটি কোন জেলাতে সেই জেলার নাম সিলেক্ট করবেন, ব্লকের নাম, মৌজা, জেএল নম্বর এরপর খতিয়ান টাইপ ও খতিয়ান নম্বর দিতে হবে।
  18. এরপর নির্দিষ্ট ঘরে কতগুলো জমি রয়েছে সেই জমির পরিমাণ একরে বসাতে হবে ও আপলোড পর্চা অপশনে খতিয়ান বা পর্চা আপলোড করতে হবে।
  19. তারপর সেলফ ডিক্লারেশনে ক্লিক করবেন, এখানে ডিক্লারেশন টাইপ থাকবে সেটা সিলেক্ট করবেন আবেদনকারীর ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য হবে এবং সেই হিসেবে নিচে তথ্য দিতে হবে এবং যে ডিক্লারেশন টাইপ সিলেক্ট করলেন তার একটি ছবি আপলোড করতে হবে। মূলত জমিটি কোন সূত্রে আপনি পেয়েছেন সেটা এখানে দিতে হবে। এখানে দলিল, RoR, মিউটেশন সার্টিফিকেট, কৃষি জমির পাট্টা, বন বিভাগের পাট্টা এবং অন্যান্য ডকুমেন্টের অপশন পাবেন।
  20. যদি আপনি বেশি জমি এড করতে চান, সেক্ষেত্রে নিচে Add Land Detail যে অপশনটি রয়েছে সেখানে ক্লিক করতে হবে এবং পরপর একটি করে পর্চা বা খতিয়ানের তথ্য যুক্ত করতে পারবেন।
  21. উপরের সবকিছু তথ্য একবার মিলিয়ে দেখে নেবেন যদি ঠিকঠাক থাকে সেক্ষেত্রে Create Farmer অপশনে ক্লিক করবেন এবং আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণভাবে পূরণ হয়ে যাবে। উপরই একটি Registration Successfully Acknowledgedment Number পাবেন এইভাবে আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হবে।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন সঠিকভাবে হল কিনা তার স্ট্যাটাস কিভাবে চেক করবেন (Krishakbandhu status check online) :-

এর জন্য যে কোন ব্রাউজারে গিয়ে গুগলে সার্চ দেবেন Krishak bandhu লিখে প্রথমেই অফিশিয়াল ওয়েবসাইটটি পেয়ে যাবেন https://krishakbandhu.net এখানে ক্লিক করবেন। এরপর দুই নম্বর অপশনে “নথিভুক্ত কৃষকের তথ্য” পাবেন সেখানে ক্লিক করবেন সিলেক্ট অপশনে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট যেকোনো একটি সিলেক্ট করবেন এবং সেই আইডি নম্বরটি নির্দিষ্ট ঘরে বসাবেন চেক বক্সে ক্লিক করে Search করবেন। এরপর সম্পূর্ণ ডিটেলসটি আপনার শো হবে যেখানে আপনি Akd ID, কৃষকবন্ধু বন্ধু আইডি (Kb ID), ভোটার কার্ড নম্বর, আধার কার্ড নম্বর তাছাড়া জেলার নাম, ব্লকের নাম এগুলো দেখতে পারবেন। অনলাইন নতুন আবেদন করার পর কিছুদিনের মধ্যেই অনলাইনেই এপ্রুভ হয়ে যাবে। দুই থেকে তিন মাস দেখবেন যদি এপ্রুভ না হয়, সেক্ষেত্রে আপনি কৃষি অফিসে যোগাযোগ করবেন

কারা কৃষকবন্ধু প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে (Eligibility of krishak bondhu) :- 

পশ্চিমবঙ্গের যেকোনো কৃষক এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবে। নিজস্ব জমি, বর্গাদার, পাট্টাদার সবাই এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী। তবে আবেদনকারী কৃষকের জমি চাষযোগ্য হতে হবে এবং পরিবারে সবাই এই সুবিধা পাবে যদি প্রত্যেকের আলাদা আলাদা নামে জমি থাকে।

কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা কি কি (Benefit of krishak bandhu):

এই প্রকল্প থেকে প্রতিবছর খরীফ ও রবি মরশুমের শুরুতে সর্বনিম্ন একটি কিস্তিতে 2000 টাকা থেকে 5000 টাকা দেওয়া হয় জমি হিসেবে। মূলত বছরে 10000 টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ একজন কৃষক এই প্রকল্প থেকে পেয়ে থাকে। তাছাড়াও এই প্রকল্পে মৃত্যুকালীন পরিবারকে সহায়তা সুবিধাও রয়েছে। যদি কোন কৃষক 60 বছর বয়সের মধ্যে যেকোনো কারণে মারা যায় তার পরিবার এককালীন 2 লক্ষ টাকা পাবে। এর জন্য কৃষিদপ্তর অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কত জমিতে কত টাকা দেওয়া হয় (Krishak bandhu payment) :- 

আবেদনকারী কৃষকদের জমি হিসেবে আনুপাতিক হারে টাকা দেওয়া হয়, 40 ডেসিমল পর্যন্ত জমি থাকলে কৃষকদের 4000 টাকা দেওয়া হয় বছরে এবং 1 একর বা তার বেশি জমি থাকলে বছরে দেওয়া হয় 10000 টাকা। এবং যেসব কৃষকের 40 ডেসিমল থেকে 1 একরের মধ্যে জমি থাকে তাদের আনুপাতিক হারে টাকা দেওয়া হয়।

কৃষকবন্ধু প্রকল্পে অনলাইন আবেদন করার সরাসরি লিংক (Krishak bandhu form fill up online):- Click

কৃষকবন্ধু প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক অনলাইন (Krishak bandhu payment status online) :- Click

প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের Self declaration ফর্ম ডাউনলোড করার লিংক:- Download 

About Author
Munna Hossain

বিগত ৬ বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে পরিচিত। প্রতিনিয়ত সাম্প্রতিক ঘটনা থেকে শুরু করে খেলাধুলার খবর নিজের আয়ত্তে রাখতে অভ্যস্ত। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারের সমস্ত রকম আপডেট (চাকরি/স্কলারশিপ/প্রকল্প ইত্যাদি) সর্বদাই রাখার চেষ্টায় অব্যাহত।