Awas Yojana Payment Update: রাজ্যের ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ফাইনাল তালিকায় (Awas yojana final list) থাকা উপভোক্তাদের টাকা দিতে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য রাজ্যে আবাস যোজনা প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রের সরকার,এমনটাই অভিযোগ তোলা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। দীর্ঘ দু’বছর ধরে এই প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার বলে রাজ্যের শাসক দলের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।কেন টাকা দেওয়া হয়নি কেন্দ্র সরকারের তরফে, এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কেন্দ্র সরকারের তরফে পরিষ্কার জানানো হয়েছে যে, রাজ্যে আবাস যোজনা প্রকল্পে অনিয়মভাবে অযোগ্যদের লিস্টে নাম তোলা হয়েছে। প্রকল্পের নাম বদলে “বাংলার বাড়ি যোজনা” করা হয়েছে। এরকম একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে কেন্দ্রের সরকারের পক্ষে। তবে এই বিষয়টি যাচাই করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্র সরকারের তরফে এ রাজ্যে একাধিক কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ টিম পাঠানো হয়েছে, তারা বেশ কিছুদিন সমীক্ষা করার পর ফিরে গিয়েছেন। তবে তেমন কোন খুঁটিনাটি তথ্য খুঁজে পায়নি তা সত্ত্বেও কেন টাকা দেওয়া হয়নি এ নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করেছে রাজ্য সরকার। একাধিক চিঠিও পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে সরকারের কাছে এরপরেও মেলেনি আবাস প্রকল্পের টাকা ফলে রীতিমতো বঞ্চিত হয়ে রয়েছে এ বাংলার ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার তালিকায় থাকা উপভোক্তরা।
প্রসঙ্গত সর্বশেষে কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিগত কয়েকদিন আগে লোকসভার নির্বাচনের ভোট প্রচারে গিয়ে, একাধিক সভা মঞ্চ থেকে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন যে কেন্দ্র সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে যদি টাকা না দিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে রাজ্যের কোষাগার থেকে টাকা ব্যয় করে এই ১১ লক্ষ উপভোক্তার বাড়ির টাকা দিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্যে এই জুলাই থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে সমীক্ষার কাজ।কেন আবারো সমীক্ষা প্রশ্ন উঠছে আমজনতার মুখে মুখে, সে উত্তরে জানা যাচ্ছে এই আবাস প্রকল্পে যে তালিকা তৈরি হয়েছিল ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার উপভোক্তার তা ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে। প্রায় দু-বছর কেটে গিয়েছে এরমধ্যে অনেক উপভোক্তাই এক জায়গা থেকে অন্যত্রে চলে গিয়েছে, কেউবা নিজে থেকেই পাকা বাড়ি করে নিয়েছে। আর এই দুই বছরে আরো একাধিক নতুন আবেদন জমা পড়েছে।জানা যাচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের কাছে যা আবেদন জমা পড়েছে, এর মধ্যে প্রকৃত আবেদনকারীদের চিহ্নিত করে আবাস যোজনার কাজ শুরু করা হবে।সেই উদ্দেশ্যেই আবারো নতুন করে সমীক্ষার কাজ চালানো হবে এরপর ফাইনাল তালিকা তৈরি করে রাজ্য সরকারের তরফে বাড়ি বানানোর টাকা উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে প্রথম কিস্তির ৬০,০০০ টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে সরাসরি। কাজেই আপনার যদি আগে থেকেই লিস্টে নাম থেকে থাকে এবং আপনি যদি একজন যোগ্য উপভোক্তা হয়ে থাকেন তাহলে আর বেশি দেরি নেই খুব শীঘ্রই আপনি বাড়ি বানানোর জন্য টাকা পেতে চলেছেন সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই প্রথম কিস্তির টাকা পাবে উপভোক্তারা। এরপর ধাপে ধাপে ২ মাস ও ৩ মাস পর পরের কিস্তির টাকা গুলো পাবে।